
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর খবরদারি না করার আহ্বান ইউজিসির
- আপলোড সময় : ০৭-০৫-২০২৫ ০৫:২৮:৫৬ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ০৭-০৫-২০২৫ ০৫:২৮:৫৬ অপরাহ্ন


উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার গুণগত মানোন্নয়নে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওপর কোনও ধরনের খবরদারি না করার আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এসএমএ ফায়েজ। ইউজিসি ও ইউনেস্কোর যৌথ উদ্যোগে বাস্তবায়নাধীন সামাজিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা প্রকল্পের ‘র্যাপিড নিডস অ্যাসেসমেন্ট টুলস ভ্যালিডেশন’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। গতকাল মঙ্গলবার ইউজিসি অডিটোরিয়ামে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। অধ্যাপক ফায়েজ বলেন, দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সহযোগী সংস্থা হিসেবে ইউজিসি নতুন বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের প্রত্যাশা পূরণে কাজ করছে। উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার গুণগত মানোন্নয়নে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওপর কোনও ধরনের খবরদারি নয় বরং একটি টিম হিসেবে কাজ করতে হবে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অবদানের জন্য নতুন প্রজন্মের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ইউজিসির চেয়ারম্যান। তিনি জুলাইয়ের চেতনা ধারণ করে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ ও শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করার আহ্বান জানান। জুলাই আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা তীব্র মানসিক চাপে রয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের কষ্টের মধ্য দিয়ে জীবনযাপন করতে হচ্ছে। তাদের কল্যাণ হয় এমন সব কাজ আমাদের করতে হবে। ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক উন্নত করা এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির পরামর্শ দেন চেয়ারম্যান। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের ওপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থীদের মাঝে তীব্র মানসিক চাপ তৈরি হয়েছে। শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি, সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফেরে আসা এবং শিক্ষার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মাছুমা হাবীব বলেন, ‘আন্দোলনের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য ও তাদের প্রত্যাশা সঠিকভাবে উপলব্ধি করতে পারেননি। জুলাই অভ্যুত্থান সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের মানসিক অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। শিক্ষার্থীদের চাপ কমাতে শিক্ষকদের মানসিকতা পরিবর্তন এবং স্টুডেন্ট কাউন্সিলরদের প্রো-এক্টিভ ভূমিকা পালন করতে হবে। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সন্তানহারা মায়েদের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। ইউজিসি জানায়, সামাজিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ হাজার শিক্ষার্থীকে সামাজিক ও মানসিক স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল কোলাবরেশন বিভাগের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) জেসমিন পারভীনের সঞ্চালনায় কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ইউজিসি সচিব ড. মো. ফখরুল ইসলাম ও ইউসেনেস্কো প্রতিনিধি রাজু দাস উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সামাজিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধি এবং ইউজিসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশ নেন।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ